ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস মিলেছে।
জেলেনস্কি বলেন, “আমি ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করেছি। শিগগিরই নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছি।” তিনি এই পরিবর্তনকে সরকারের ‘কার্যনির্বাহী শাখার রূপান্তর’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। সিভিরিদেঙ্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিক সহায়তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং দেশীয় অস্ত্র উৎপাদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩৯ বছর বয়সী সিভিরিদেঙ্কো চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের বিরল খনিজ–সংক্রান্ত টানাপোড়েনের সময় আলোচনায় আসেন। তখন কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক অনেকটা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০২০ সাল থেকে এ দায়িত্বে আছেন। ইউক্রেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের প্রধান তিমোফি মাইলোভানভ বলেছেন, “মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। তিন বছরের বেশি সময়ের যুদ্ধে এই ধরনের পরিবর্তন নতুন উদ্যম তৈরি করবে।”
এর আগে জেলেনস্কি জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের কথাও বিবেচনা করছেন। সম্প্রতি উমেরভের সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নেওয়া এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।