
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান ও তার পরিবার বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি রুপির নবাবি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ে রয়েছেন। এর আগে নিম্ন আদালত সাইফ, তার দুই বোন সোহা আলী খান ও সাবা সুলতান, এবং মা শর্মিলা ঠাকুরকে ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সেই রায় বাতিল করে দেয়।
সর্বশেষ, ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে মামলাটি নতুন করে শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়—যা পতৌদি পরিবারের জন্য বড় স্বস্তির খবর। বিচারপতি পি.এস. নারসিমহা ও অতুল চন্দুরকরের বেঞ্চে এই রায় ঘোষিত হয়, যা ওমর ফারুক আলি ও রাশিদ আলির দাখিল করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আসে। তারা নবাব হামিদুল্লাহ খানের বড় ভাইয়ের বংশধর।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপারটি অ্যাক্ট ১৯৬৮’-এর আওতায় শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। কারণ, নবাবের কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে স্থায়ীভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর ফলে ওই সম্পত্তিকে বিদেশি সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করেন সাইফ আলী খান। যদিও দীর্ঘদিন স্থগিতাদেশ বহাল থাকলেও, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত তা তুলে নেয় এবং এ বছরের জুলাইয়ে সাইফের আবেদন খারিজ করে দেয়। এতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি ভারত সরকারের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
তবে ৮ আগস্টের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আবারও আশার আলো দেখেছে পতৌদি পরিবার। ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি রুপি। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের প্রপৌত্র সাইফের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে এই সম্পত্তির মালিক হলেও, ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ অনুযায়ী স্থায়ীভাবে পাকিস্তান বা চীনে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের বংশধররা ভারতে থাকা সম্পত্তির ওপর কোনো অধিকার পান না এবং সরকার তা বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করতে পারে।