
পবিত্র হজ পালন শেষে বাংলাদেশের হাজিদের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে ফেরত গেছে মোট ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি জানান, সৌদি আরবে হজের প্রতিটি নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে পালন নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা ছিল। এর ফলে সময়মতো হজ ফি পরিশোধ, মক্কা শরীফের নিকটবর্তী বাসা ভাড়া, কম খরচে হজযাত্রা নিশ্চিত করা এবং সৌদি আরবে হাজিদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব হয়েছে। মহান আল্লাহর কৃপায় এবারের হজে বাংলাদেশ রেকর্ড সাফল্য অর্জন করেছে। এই অর্জনের কৃতিত্ব শুধু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নয়, বরং অংশীদার ছিলেন ৮৭ হাজার ১০০ জন হাজি, যারা নিয়ম মেনে হজ পালন করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন গত এক বছরে শুধু হজ কার্যক্রমেই নয়, মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান, হাজারো মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা অব্যাহত রাখা এবং বিপুল পরিমাণ ওয়াক্ফ সম্পত্তি উদ্ধারেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। রাজনৈতিক চাপমুক্ত পরিবেশে সেবা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তিনি এসব কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে জানান।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ২০২৪ সালের তুলনায় ৭৩ হাজার টাকা কমানো হয়েছিল। হজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক সফলতার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ বছর হাজিদের জন্য তিনটি নতুন সেবা চালু করা হয়—আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা এবং হজ প্রি-পেইড কার্ড সরাসরি হাজিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
সূত্র: বাসস।