মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত তদন্তে ৯ সদস্যের সরকারি কমিশন গঠন
ঢাকা, ১৫ জুলাই — রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সরকার ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ, ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করতেই এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রবিবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের নেতৃত্ব ও সদস্যরা
তদন্ত কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খান। সদস্য হিসেবে আছেন—
-
সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সাঈদ হোসাইন
-
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা (প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে মনোনীত)
-
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার
-
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান
-
বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান
-
আইনজীবী আশরাফ আলী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন বিমান বিধ্বস্তের পেছনের কারণ, কারো গাফিলতি বা দায় থাকলে তা চিহ্নিত করবে। দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে।
এছাড়া, বিমানবন্দরের সন্নিকটে মাইলস্টোন স্কুল ও আশপাশের স্থাপনাগুলোর অবস্থানগত সঠিকতা, ফ্লাইং জোনের নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ বিমানের উড্ডয়ন এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় পর্যালোচনা করবে কমিশন। প্রয়োজনে তদন্ত কমিশন যেকোনো এলাকা পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশন অব ইনকোয়াইরি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুসরণ করা হবে। কমিশনকে সচিবিক সহায়তা দেবে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকজন আহত হন। ঘটনায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা ও ফ্লাইং জোন পরিকল্পনা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।