স্পেনকে কাঁদিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড নারী দল
দ্রুতগতি, নাটকীয়তা ও স্নায়ুচাপ—সব মিলিয়ে ইউরো ২০২৫ নারী ফুটবলের ফাইনালটি রূপ নেয় এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরো শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে সারিনা ভিগম্যানের শিষ্যরা।
রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে খেলার ফল ছিল ১-১। ২৫তম মিনিটে ওনা বাতিয়ের অ্যাসিস্ট থেকে হেডে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা ক্যালদেন্তে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় ক্লোই কেলির দারুণ এক ক্রসে হেড করে সমতা ফেরান আলেসিয়া রুসো।
ম্যাচে স্পেনের আধিপত্য থাকলেও ইংলিশ রক্ষণ ছিল দুর্ভেদ্য। গোলের জন্য মরিয়া হলেও আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দলই, ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের শুরুতেই ইংলিশ ফরোয়ার্ড বাথ মিডের শট ঠেকান স্প্যানিশ গোলরক্ষক কাতা কোল। এরপর স্পেনকে ম্যাচে ফেরাতে দেননি ইংল্যান্ডের গোলকিপার হান্নাহ হাম্পটন। তিনি ঠেকিয়ে দেন ক্যালদেন্তে ও বোনমাতির শট। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সালমা পারালুয়েলোর শট ব্যর্থ হলে ম্যাচ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ পান ক্লোই কেলি। আগের ইউরোতে ফাইনাল নির্ধারণ করা এই তারকা এবারও আলো ছড়ান। চেনা ভঙ্গিতে নেওয়া রান-আপে নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের জয়, উল্লাসে ভাসান ইংলিশ গ্যালারি।
এই জয়ে ইংল্যান্ড নারী দল প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনো বড় শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল। কোচ সারিনা ভিগম্যানও ছুঁলেন অনন্য উচ্চতা—দুই ভিন্ন দেশের কোচ হিসেবে ইউরো জয়ের হ্যাটট্রিক, এর আগে তিনি নেদারল্যান্ডসের কোচ হিসেবেও ইউরো জিতেছিলেন।
টানা দ্বিতীয় ইউরো জয়ের মধ্য দিয়ে নারী ফুটবলে নিজেদের আধিপত্য আরও দৃঢ় করলো ইংল্যান্ড। আর স্পেন, যারা বিশ্বকাপ ও নেশন্স লিগ জয়ের পর ইউরো শিরোপা খুঁজছিল—তারা থামলো ইংলিশ প্রতিরোধে।