সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধে শান্তি আলোচনার জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাই ও কম্বোডিয়ার নেতারা
সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধে শান্তি আলোচনায় বসতে আজ সোমবার মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এই আলোচনার আয়োজন করেছে আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান এবং এতে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ড সরকার ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, এই শান্তি আলোচনা যৌথভাবে আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এতে চীনও অংশ নিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, সংঘাত নিরসনে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। গতকাল রোববার রাতে ওয়াশিংটন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, “আমরা চাই এই সংঘাত যত দ্রুত সম্ভব শেষ হোক।”
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষ দিকে সীমান্তে এক কম্বোডিয়ান সেনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এরপর উভয় দেশ সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে এবং পরিস্থিতি কূটনৈতিক সংকটে রূপ নেয়। সংঘর্ষের ফলে থাইল্যান্ডের জোট সরকার ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।
গত বৃহস্পতিবার উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে ২ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন এবং আলোচনার আয়োজনের ঘোষণা দেন। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, দুই দেশের অনুরোধে আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, “আমি শর্ত ও কাঠামো নিয়ে আলোচনা করছি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি।” থাইল্যান্ড যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সম্মত হলেও শুরুতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চেয়েছিল। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক মহলের সম্পৃক্ততা চাচ্ছিল। অবশেষে মালয়েশিয়ায় আজকের আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনের পথ উন্মুক্ত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।