ফাইভারে সাফল্য পাওয়া তিনজন ব্যক্তির অভিজ্ঞতা এবং কিছু জরুরি টিপস

ফাইভারের সাথে  যদি আপনি পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে জেনে রাখা ভালো যে এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি যে কোনও ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন মাত্র ৫ ডলারে আপনার পরিষেবা সরবরাহ করতে পারেন।  আপনার  যদি  লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে লেখার দক্ষতা দিয়ে ও আপনি অর্থ উপার্জন  করতে পারেন, এছাড়া ও  গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ,  গুগল অথবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং আরো অনেক উপায়ে আপনি সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন । তবে তার জন্য আপনাকে ফাইবার একাউন্ট কিভাবে করবেন এবং ফাইবার গিগ কিভাবে করবেন তা জানা থাকা প্রয়োজন। আচ্ছা এই টপিকে পরে আলোচনা করবো চলুন আজকের আলোচনায় আসি। নতুনদের জন্য, ফাইভারে সাফল্য পাওয়া  টা সহজ নয় । তবে কাজে দক্ষ হলে অবশ্যই সফলতা পাওয়াটা কঠিন ও কিছু নয়। আপনি যে কোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে ও  ফাইবারে ভালো রেটিং নিয়ে সেবা দিতে পারবেন। এর জন্য আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিযয়ে গিগ তৈরী করে এবং গিগের মার্কেটিং করার মাধ্যমে ও কাজ পেতে পারেন। এমন অনেকেই  আছেন যারা ফাইভারকে প্রথমে খুব গুরুত্ব দেয়, কিন্তু যখন তারা লক্ষ্য করেন  তাদের কাজ পাওয়া কঠিন হচ্ছে, তখন তারা চেষ্টা করা বন্ধ করে দেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। পৃথিবীতে কোনো কিছুই সহজ লোভ্য় নয়। নিজের  দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। একটু দেরি হলে ও সফলতা আসবে।  

আজকের পোস্টে, আমি বেশ কয়েকজন ব্যক্তির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলবো যারা  ফাইবারে সেবা প্রদান করার মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন। আজকে তাদের কিছু টিপস নিয়ে বলবো যে টিপস গুলো তাদের সফল হতে সাহায্য করেছে। আপনি যদি ফাইবারে ভাল করতে চান তাহলে  আপনার জন্য এই পোস্টটি খুব হেল্পফুল হবে।

ফাইভারে সাফল্য পাওয়া যাদের লক্ষ্য তারাই সফল হতে পারে

যাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন

১. অ্যাঙ্গি নেলসন এর টিপস

গ্রাহকের রিভিউ এবং পুনরাবৃত্তি ফাইভারে সাফল্যের চাবিকাঠি। অর্ডার বিতরণ করার সময়, সর্বদা আপনার ক্রেতাদের একটি রিভিউ করার জন্য স্মরণ করিয়ে দিন এবং বায়ার যাতে আপনার সেবায় খুশি হন সে দিক তা খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার গিগ গুলি ভবিষ্যতে অর্ডার করার জন্য পছন্দ করে। যদি আপনার সেবা তে কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে বায়ারকে জিজ্ঞাসা করুন যে তারা যদি খুশি না হন তবে তারা যাতে আপনাকে বাজে রিভিউ দেয়ার আগে পরিস্থিতি সমাধানের সুযোগ দেয়। বায়ারের সাথে সেই ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করুন এবং তাদের জানতে দিন যে আপনি বর্তমান বিজনেস মার্কেটপ্লেসের  সন্ধান করছেন। আপনার এই চেষ্টা  কেবল কিছু টাকা উপার্জন করার জন্য নয়।

২. নিক লোপার এর টিপস

আমি একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই ফাইবারকে পছন্দ করি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এটি গুগলের মতোই একটি সার্চ ইঞ্জিন। গুগল থেকে ফাইবার আরও ভাল, কেননা ফাইভারে অনুসন্ধান করা লোকেরা অর্থ ব্যয় করবে বলে সেবাদানকারী  খুঁজছে । এর অর্থ হ’ল আপনার গিগটি এসইও করার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার বায়ার কি কি উপায়ে আপনাকে সার্চ করলে পাবে। আপনার গিগের টাইটেল, গিগের কি ওয়ার্ড, ট্যাগ এসবের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। 

আপনি ফাইবারে নতুন  সেলার হলে আপনার জন্য করণীয় হ’ল আপনার গিগের সাথে একটি ভিডিও যুক্ত করা। এটি আপনার একটি টেকনিক হতে হতে পারে।  একবার ভাবুন ফাইবারে কয়েক হাজার অন্যান্য বিক্রয়কর্মীর পরিবর্তে কেউ আপনাকে কেনো নিয়োগ দেবে। একটু সময় নিয়ে এমন একটি গিগ তৈরী করুন যাতে বায়ার দেখলে  ই বুঝতে পারবে যে উনি যে ধরণের কাজ চাচ্ছেন তা আপনি জানেন অথবা আপনার  সে বিষয়ে অনেক  অভিজ্ঞতা আছে ।

৩. ডায়ার লিংকের টিপস

যদি আপনি ফাইভারকে  আপনার জন্য একটি ফুলটাইম ব্যবসা করে তুলেন, তাহলে বিশ্বব্যাপী সেবা সরবরাহের জন্য আপনার যা কিছু আছে তা গিগ হিসাবে রাখুন যা ক্লাইন্টরা ক্রমাগত চলমান ভিত্তিতে ক্রয় করতে চাইবে।

ফাইভারকে একটি প্রদত্ত ইন্টার্নশিপ হিসাবে ভাবুন যেখানে আপনি আপনার গ্রাহক পরিষেবার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সেট এবং সেবা তৈরি / বিতরণ সম্পর্কে শিখতে পারবেন। ২০১০ সালে আমি প্রথম যখন জিনিস শুরু করেছি তখন  ডিজাইনের বিষয়ে আমি খুব একটা ভাল ছিলাম না, তবে আমি প্রযুক্তিগত এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই সৃজনশীল হিসাবে যথেষ্ট বেড়ে উঠেছি।  এটি মার্কেটপ্লেসের ভিতরে বা বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীল হতে  হয়েছে , তবে আমরা ফাইবারে যে পদ্ধতিতে কাজ করি তার কারণে (কঠোর সময়ের সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক ক্লায়েন্ট বেস ) আমি একটি অত্যন্ত অনন্য দক্ষতা সেট তৈরি করেছি যা আমাকে  আমার অন্যান্য সমস্ত প্রচেষ্টায় মানসিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উভয়ই অভিজাত গতিতে এগিয়ে যেতে সাহস দেয়। ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সৃজনশীল রেজোলিউশন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইভার মূলত আমাকে একটি দক্ মেশিনে পরিণত করেছে।

উপরের দক্ষ বা সফল ব্যক্তিদের কথা শুনে আপনার মনে হতে পারে ফাইবার বা যে কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা তা খুব ই সহজ।  সত্যি কথা বলতে অনেকেই এই মার্কেটপ্লেসে আসে আরাম ভাবে কাজ করার জন্য।  তারা ভেবে থাকে বাসায় বসে কাজ করে  কম পরিশ্রমে ডলার ইনকাম করবেন। কিন্তু বাস্তব কথা হলো তাদের ধারণা অনেকটাই ভুল।  সত্য কথা হলো যাদেরকে দেখে আমরা সফল বলছি তারা তাদের ক্যারিয়ার এর শুরুতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন যার মুধুর ফল তারা এখন ভোগ করছেন।

সুতরাং দেরি না করে আপনার যে দক্ষতা আছে তা নিয়ে ই কাজে নেমে পড়ুন।তবে হ্যা, কাজটিকে আপনার প্যাশন হিসাবে নিতে হবে। তা না হলে কিছুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এটা ও কারো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

আরও কিছু জানতে ফাইভার-এ শুরু হোক ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ব্লগটি পড়তে পারেন ।

ফাইভারের সাথে  যদি আপনি পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে জেনে রাখা ভালো যে এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি যে কোনও ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন মাত্র ৫ ডলারে আপনার পরিষেবা সরবরাহ করতে পারেন।  আপনার  যদি  লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে লেখার দক্ষতা দিয়ে ও আপনি অর্থ উপার্জন  করতে পারেন, এছাড়া ও  গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ,  গুগল অথবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং আরো অনেক উপায়ে আপনি সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন । তবে তার জন্য আপনাকে ফাইবার একাউন্ট কিভাবে করবেন এবং ফাইবার গিগ কিভাবে করবেন তা জানা থাকা প্রয়োজন। আচ্ছা এই টপিকে পরে আলোচনা করবো চলুন আজকের আলোচনায় আসি। নতুনদের জন্য, ফাইভারে সাফল্য পাওয়া  টা সহজ নয় । তবে কাজে দক্ষ হলে অবশ্যই সফলতা পাওয়াটা কঠিন ও কিছু নয়। আপনি যে কোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে ও  ফাইবারে ভালো রেটিং নিয়ে সেবা দিতে পারবেন। এর জন্য আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিযয়ে গিগ তৈরী করে এবং গিগের মার্কেটিং করার মাধ্যমে ও কাজ পেতে পারেন। এমন অনেকেই  আছেন যারা ফাইভারকে প্রথমে খুব গুরুত্ব দেয়, কিন্তু যখন তারা লক্ষ্য করেন  তাদের কাজ পাওয়া কঠিন হচ্ছে, তখন তারা চেষ্টা করা বন্ধ করে দেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। পৃথিবীতে কোনো কিছুই সহজ লোভ্য় নয়। নিজের  দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। একটু দেরি হলে ও সফলতা আসবে।   যাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন ১. অ্যাঙ্গি নেলসন এর টিপস গ্রাহকের রিভিউ এবং পুনরাবৃত্তি ফাইভারে সাফল্যের চাবিকাঠি। অর্ডার বিতরণ করার সময়, সর্বদা আপনার ক্রেতাদের একটি রিভিউ করার জন্য স্মরণ করিয়ে দিন এবং বায়ার যাতে আপনার সেবায় খুশি হন সে দিক তা খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার গিগ গুলি ভবিষ্যতে অর্ডার করার জন্য পছন্দ করে। যদি আপনার সেবা তে কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে বায়ারকে জিজ্ঞাসা করুন যে তারা যদি খুশি না হন তবে তারা যাতে আপনাকে বাজে রিভিউ দেয়ার আগে পরিস্থিতি সমাধানের সুযোগ দেয়। বায়ারের সাথে সেই ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করুন এবং তাদের জানতে দিন যে আপনি বর্তমান বিজনেস মার্কেটপ্লেসের  সন্ধান করছেন। আপনার এই চেষ্টা  কেবল কিছু টাকা উপার্জন করার জন্য নয়। ২. নিক লোপার এর টিপস আমি একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই ফাইবারকে পছন্দ করি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এটি গুগলের মতোই একটি সার্চ ইঞ্জিন। গুগল থেকে ফাইবার আরও ভাল, কেননা ফাইভারে অনুসন্ধান করা লোকেরা অর্থ ব্যয় করবে বলে সেবাদানকারী  খুঁজছে । এর অর্থ হ’ল আপনার গিগটি এসইও করার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার বায়ার কি কি উপায়ে আপনাকে সার্চ করলে পাবে। আপনার গিগের টাইটেল, গিগের কি ওয়ার্ড, ট্যাগ এসবের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।  আপনি ফাইবারে নতুন  সেলার হলে আপনার জন্য করণীয় হ’ল আপনার গিগের সাথে একটি ভিডিও যুক্ত করা। এটি আপনার একটি টেকনিক হতে হতে পারে।  একবার ভাবুন ফাইবারে কয়েক হাজার অন্যান্য বিক্রয়কর্মীর পরিবর্তে কেউ আপনাকে কেনো নিয়োগ দেবে। একটু সময় নিয়ে এমন একটি গিগ তৈরী করুন যাতে বায়ার দেখলে  ই বুঝতে পারবে যে উনি যে ধরণের কাজ চাচ্ছেন তা আপনি জানেন অথবা আপনার  সে বিষয়ে অনেক  অভিজ্ঞতা আছে । ৩. ডায়ার লিংকের টিপস যদি আপনি ফাইভারকে  আপনার জন্য একটি ফুলটাইম ব্যবসা করে তুলেন, তাহলে বিশ্বব্যাপী সেবা সরবরাহের জন্য আপনার যা কিছু আছে তা গিগ হিসাবে রাখুন যা ক্লাইন্টরা ক্রমাগত চলমান ভিত্তিতে ক্রয় করতে চাইবে। ফাইভারকে একটি প্রদত্ত ইন্টার্নশিপ হিসাবে ভাবুন যেখানে আপনি আপনার গ্রাহক পরিষেবার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সেট এবং সেবা তৈরি / বিতরণ সম্পর্কে শিখতে পারবেন। ২০১০ সালে আমি প্রথম যখন জিনিস শুরু করেছি তখন  ডিজাইনের বিষয়ে আমি খুব একটা ভাল ছিলাম না, তবে আমি প্রযুক্তিগত এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই সৃজনশীল হিসাবে যথেষ্ট বেড়ে উঠেছি।  এটি মার্কেটপ্লেসের ভিতরে বা বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীল হতে  হয়েছে , তবে আমরা ফাইবারে যে পদ্ধতিতে কাজ করি তার কারণে (কঠোর সময়ের সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক ক্লায়েন্ট বেস ) আমি একটি অত্যন্ত অনন্য দক্ষতা সেট তৈরি করেছি যা আমাকে  আমার অন্যান্য সমস্ত প্রচেষ্টায় মানসিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উভয়ই অভিজাত গতিতে এগিয়ে যেতে সাহস দেয়। ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সৃজনশীল রেজোলিউশন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইভার মূলত আমাকে একটি দক্ মেশিনে পরিণত করেছে। উপরের দক্ষ বা সফল ব্যক্তিদের কথা শুনে আপনার মনে হতে পারে ফাইবার বা যে কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা তা খুব ই সহজ।  সত্যি কথা বলতে অনেকেই এই মার্কেটপ্লেসে আসে আরাম ভাবে কাজ করার জন্য।  তারা ভেবে থাকে বাসায় বসে কাজ করে  কম পরিশ্রমে ডলার ইনকাম করবেন। কিন্তু বাস্তব কথা হলো তাদের ধারণা অনেকটাই ভুল।  সত্য কথা হলো যাদেরকে দেখে আমরা সফল বলছি তারা তাদের ক্যারিয়ার এর শুরুতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন যার মুধুর ফল তারা এখন ভোগ করছেন। সুতরাং দেরি না করে আপনার যে দক্ষতা আছে তা নিয়ে ই কাজে নেমে পড়ুন।তবে হ্যা, কাজটিকে আপনার প্যাশন হিসাবে নিতে হবে। তা না হলে কিছুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এটা ও কারো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আরও কিছু জানতে ফাইভার-এ শুরু হোক ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ব্লগটি পড়তে পারেন ।

ফাইভারের সাথে  যদি আপনি পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে জেনে রাখা ভালো যে এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি যে কোনও ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন মাত্র ৫ ডলারে আপনার পরিষেবা সরবরাহ করতে পারেন।  আপনার  যদি  লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে লেখার দক্ষতা দিয়ে ও আপনি অর্থ উপার্জন  করতে পারেন, এছাড়া ও  গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ,  গুগল অথবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং আরো অনেক উপায়ে আপনি সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন । তবে তার জন্য আপনাকে ফাইবার একাউন্ট কিভাবে করবেন এবং ফাইবার গিগ কিভাবে করবেন তা জানা থাকা প্রয়োজন। আচ্ছা এই টপিকে পরে আলোচনা করবো চলুন আজকের আলোচনায় আসি। নতুনদের জন্য, ফাইভারে সাফল্য পাওয়া  টা সহজ নয় । তবে কাজে দক্ষ হলে অবশ্যই সফলতা পাওয়াটা কঠিন ও কিছু নয়। আপনি যে কোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে ও  ফাইবারে ভালো রেটিং নিয়ে সেবা দিতে পারবেন। এর জন্য আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিযয়ে গিগ তৈরী করে এবং গিগের মার্কেটিং করার মাধ্যমে ও কাজ পেতে পারেন। এমন অনেকেই  আছেন যারা ফাইভারকে প্রথমে খুব গুরুত্ব দেয়, কিন্তু যখন তারা লক্ষ্য করেন  তাদের কাজ পাওয়া কঠিন হচ্ছে, তখন তারা চেষ্টা করা বন্ধ করে দেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। পৃথিবীতে কোনো কিছুই সহজ লোভ্য় নয়। নিজের  দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। একটু দেরি হলে ও সফলতা আসবে।   যাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন ১. অ্যাঙ্গি নেলসন এর টিপস গ্রাহকের রিভিউ এবং পুনরাবৃত্তি ফাইভারে সাফল্যের চাবিকাঠি। অর্ডার বিতরণ করার সময়, সর্বদা আপনার ক্রেতাদের একটি রিভিউ করার জন্য স্মরণ করিয়ে দিন এবং বায়ার যাতে আপনার সেবায় খুশি হন সে দিক তা খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার গিগ গুলি ভবিষ্যতে অর্ডার করার জন্য পছন্দ করে। যদি আপনার সেবা তে কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে বায়ারকে জিজ্ঞাসা করুন যে তারা যদি খুশি না হন তবে তারা যাতে আপনাকে বাজে রিভিউ দেয়ার আগে পরিস্থিতি সমাধানের সুযোগ দেয়। বায়ারের সাথে সেই ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করুন এবং তাদের জানতে দিন যে আপনি বর্তমান বিজনেস মার্কেটপ্লেসের  সন্ধান করছেন। আপনার এই চেষ্টা  কেবল কিছু টাকা উপার্জন করার জন্য নয়। ২. নিক লোপার এর টিপস আমি একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই ফাইবারকে পছন্দ করি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এটি গুগলের মতোই একটি সার্চ ইঞ্জিন। গুগল থেকে ফাইবার আরও ভাল, কেননা ফাইভারে অনুসন্ধান করা লোকেরা অর্থ ব্যয় করবে বলে সেবাদানকারী  খুঁজছে । এর অর্থ হ’ল আপনার গিগটি এসইও করার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার বায়ার কি কি উপায়ে আপনাকে সার্চ করলে পাবে। আপনার গিগের টাইটেল, গিগের কি ওয়ার্ড, ট্যাগ এসবের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।  আপনি ফাইবারে নতুন  সেলার হলে আপনার জন্য করণীয় হ’ল আপনার গিগের সাথে একটি ভিডিও যুক্ত করা। এটি আপনার একটি টেকনিক হতে হতে পারে।  একবার ভাবুন ফাইবারে কয়েক হাজার অন্যান্য বিক্রয়কর্মীর পরিবর্তে কেউ আপনাকে কেনো নিয়োগ দেবে। একটু সময় নিয়ে এমন একটি গিগ তৈরী করুন যাতে বায়ার দেখলে  ই বুঝতে পারবে যে উনি যে ধরণের কাজ চাচ্ছেন তা আপনি জানেন অথবা আপনার  সে বিষয়ে অনেক  অভিজ্ঞতা আছে । ৩. ডায়ার লিংকের টিপস যদি আপনি ফাইভারকে  আপনার জন্য একটি ফুলটাইম ব্যবসা করে তুলেন, তাহলে বিশ্বব্যাপী সেবা সরবরাহের জন্য আপনার যা কিছু আছে তা গিগ হিসাবে রাখুন যা ক্লাইন্টরা ক্রমাগত চলমান ভিত্তিতে ক্রয় করতে চাইবে। ফাইভারকে একটি প্রদত্ত ইন্টার্নশিপ হিসাবে ভাবুন যেখানে আপনি আপনার গ্রাহক পরিষেবার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সেট এবং সেবা তৈরি / বিতরণ সম্পর্কে শিখতে পারবেন। ২০১০ সালে আমি প্রথম যখন জিনিস শুরু করেছি তখন  ডিজাইনের বিষয়ে আমি খুব একটা ভাল ছিলাম না, তবে আমি প্রযুক্তিগত এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই সৃজনশীল হিসাবে যথেষ্ট বেড়ে উঠেছি।  এটি মার্কেটপ্লেসের ভিতরে বা বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীল হতে  হয়েছে , তবে আমরা ফাইবারে যে পদ্ধতিতে কাজ করি তার কারণে (কঠোর সময়ের সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক ক্লায়েন্ট বেস ) আমি একটি অত্যন্ত অনন্য দক্ষতা সেট তৈরি করেছি যা আমাকে  আমার অন্যান্য সমস্ত প্রচেষ্টায় মানসিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উভয়ই অভিজাত গতিতে এগিয়ে যেতে সাহস দেয়। ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সৃজনশীল রেজোলিউশন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইভার মূলত আমাকে একটি দক্ মেশিনে পরিণত করেছে। উপরের দক্ষ বা সফল ব্যক্তিদের কথা শুনে আপনার মনে হতে পারে ফাইবার বা যে কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা তা খুব ই সহজ।  সত্যি কথা বলতে অনেকেই এই মার্কেটপ্লেসে আসে আরাম ভাবে কাজ করার জন্য।  তারা ভেবে থাকে বাসায় বসে কাজ করে  কম পরিশ্রমে ডলার ইনকাম করবেন। কিন্তু বাস্তব কথা হলো তাদের ধারণা অনেকটাই ভুল।  সত্য কথা হলো যাদেরকে দেখে আমরা সফল বলছি তারা তাদের ক্যারিয়ার এর শুরুতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন যার মুধুর ফল তারা এখন ভোগ করছেন। সুতরাং দেরি না করে আপনার যে দক্ষতা আছে তা নিয়ে ই কাজে নেমে পড়ুন।তবে হ্যা, কাজটিকে আপনার প্যাশন হিসাবে নিতে হবে। তা না হলে কিছুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এটা ও কারো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আরও কিছু জানতে ফাইভার-এ শুরু হোক ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ব্লগটি পড়তে পারেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.