পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশের সামনে রয়েছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। আর একটি জয় মানেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে, টানা দুই হারের পর চাপে রয়েছে পাকিস্তান শিবির। হোটেল সোনারগাঁওয়ের কাছেই আধুনিক শপিংমল থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বাইরে বের হননি, ছিলেন হোটেলেই সীমিত। দলের মনোবল এখন তলানিতে, বেড়ানো কিংবা কেনাকাটার মনোভাব নেই কারো।
মাঠের পারফরম্যান্সই এই চিত্রের বড় কারণ। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। জাকের আলীর ভাষায়, “শেষটা জয়ে রাঙাতে আমরা খেলবো অলরাউন্ড ক্রিকেট।” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্মও আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজ জয় এবং দেশে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে ছন্দে রয়েছে লিটন দাসের দল। কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারা, সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রতিপক্ষের ভুলের সদ্ব্যবহারই সিরিজ জয় সহজ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও দোষ দিচ্ছেন নিজেদের খেলোয়াড়দের ভুল বুঝে পারফর্ম না করাকে। কেউ পিচ নয়, সমালোচনা করছেন কোচিং স্টাফের সিদ্ধান্তকে। আমির সোহেল বলেন, “বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও উইকেট বুঝে না খেলে ব্যাটাররা শুরুতেই উইকেট দিয়ে এসেছেন।” সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটও কোচ মাইক হেসনের ভুলকেই দায়ী করেছেন, যিনি প্রথম ম্যাচের পর নিজের সিদ্ধান্ত ভুল স্বীকার করেছিলেন।
পাকিস্তানের পরাজয়ের নেপথ্যে রয়েছে কন্ডিশন না বোঝা এবং তীব্রতা নিয়ে না খেলার কৌশল। অন্যদিকে, বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে অত্যন্ত কৌশলীভাবে। লিটনের অধিনায়কত্ব, ফিল সিমন্সের পরিকল্পনা এবং দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে দলকে। গতকাল বিশ্রামের দিনে খেলোয়াড়দের মন ছিল হালকা। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে সময় কাটিয়েছেন, আবার কেউ অংশ নিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত নৈশভোজে, যেখানে এশিয়ান দেশগুলোর বোর্ড প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে আজকের ম্যাচে জয়ই হতে পারে সেই আসল উদযাপন। পাকিস্তানকে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ‘পার্টি অব দ্য সিরিজ’। এখন দেখার পালা, লিটন বাহিনী সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এনে দিতে পারে কিনা।