
২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার চারশ রানের গণ্ডি পেরিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৩৪ রান করেও ম্যাচটি জিততে পারেনি তারা। এর পর থেকে আরও ২৭ বার ওয়ানডেতে চারশ পেরিয়েছে বিভিন্ন দল। রোববার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অজিরা ছুঁয়ে ফেলল নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মাত্র ৩ রানের জন্য ভাঙা হলো না আগের রেকর্ড। তবে ব্যাট হাতে বেশ কয়েকটি নতুন মাইলফলক গড়ল তারা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই ট্রফি খুইয়েছিল মিচেল মার্শের দল। শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যেই নেমেছিল তারা। আর সেই ম্যাচেই দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর রূপ। ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথমবার দলের শীর্ষ তিন ব্যাটারই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে অজিদের স্কোরবোর্ড থেমেছে ২ উইকেটে ৪৩১ রানে।
সবচেয়ে বড় ইনিংস ১০৩ বলে ১৪২ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। অধিনায়ক মিচেল মার্শ করেছেন ১০৬ বলে ১০০। ক্যামেরন গ্রিন ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থেকে খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। উইকেটে সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারিও ছিলেন বিধ্বংসী, ৩৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে দুটি ১৫০ প্লাস জুটি গড়ল অস্ট্রেলিয়া। হেড-মার্শের উদ্বোধনী জুটি ছিল ২৫০ রানের, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
গ্রিনের ব্যাটে এসেছে আরও এক রেকর্ড, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে ৪৭ বলে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতক। এর আগে কেবল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলই (৪০ বলে) দ্রুততর সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এছাড়া এক ইনিংসে কোনো দলের তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি করার ঘটনাটি ওয়ানডেতে এবার হলো পঞ্চমবার। দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার আর ইংল্যান্ড একবার এমন কীর্তি গড়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৩১ রানের ইনিংস ওয়ানডে ইতিহাসে নবম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যেখানে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৫ সালে ২ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩৯ রান করেছিল প্রোটিয়ারা।
এই ম্যাচে অজি ব্যাটাররা মেরেছেন ১৮ ছক্কা। যেটি নিজেদের মাটিতে সর্বোচ্চ এবং প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্যক্তিগতভাবে গ্রিন হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা, যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৯ ছক্কা নিয়ে শীর্ষে আছেন রিকি পন্টিং।