সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে তাদের বেশির ভাগ কূটনৈতিক কর্মীকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) আমিরাতে ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল আমিরাতে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকেও প্রত্যাহার করেছে। এর আগে, আবুধাবির একটি বারে নারীদের সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করার অভিযোগে আমিরাত তাকে আর গ্রহণ করতে চায় না বলে জানায়। সম্প্রতি এনএসসি সতর্ক করেছে, আমিরাতে ইহুদি ও ইসরায়েলিদের ওপর হামলার ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষ করে শাব্বাত ও ধর্মীয় ছুটির সময়ে। তাদের ভাষ্যে, ইরানে ইসরায়েলের টানা ১২ দিনের হামলা এবং গাজায় চলমান অভিযান পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
২০২০ সালে আমিরাত ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়, যা মিসর ও জর্ডানের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা। পরে উভয় দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং দুবাই-তেল আবিব সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়। এতে ব্যবসা ও পর্যটনের ক্ষেত্রেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
ইসরায়েল সবসময় বলে এসেছে, আমিরাত ইসরায়েলিদের জন্য অন্যতম নিরাপদ দেশ। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর সেই সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত মার্চে এক ইসরায়েলি-মলদোভান রাবিকে হত্যার দায়ে আমিরাতের আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
সবশেষ এনএসসির সতর্কতা এবং রাষ্ট্রদূত শেলির একাধিক বিতর্কিত আচরণ—যার মধ্যে আবুধাবির একটি বারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা অন্যতম—দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।