বিদেশি শত্রু রাষ্ট্র, বিশেষ করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে গুপ্তচরবৃত্তি ও সহযোগিতার শাস্তি আরও কঠোর করতে একটি বিলের সংশোধনী অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। সোমবারের অধিবেশনে বিপুল ভোটে পাস হওয়া এই সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি শত্রু রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি বা অপারেশনাল কাজে জড়িত থাকলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত।
সংশোধিত আইনে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে শত্রু রাষ্ট্র ও গোষ্ঠী চিহ্নিতের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, আর মিনিস্ট্রি অব ইন্টেলিজেন্সকে শত্রুদের নেটওয়ার্ক শনাক্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আগে থেকেই শত্রু রাষ্ট্রের তালিকায় থাকলেও কাউন্সিল চাইলে নতুন রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীকে এই তালিকায় যুক্ত করতে পারবে।
নতুন আইনে শত্রু রাষ্ট্রকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সামরিক সহায়তা, স্টারলিংকের মতো অবৈধ যোগাযোগ ডিভাইস ব্যবহার এবং বিদেশি নেটওয়ার্কে রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য বা ভিডিও পাঠানোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি কারাদণ্ড ও আজীবন সরকারি ও জনসেবা থেকে বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়কে ‘প্রতিকূল মিডিয়া’ চিহ্নিত করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের মতে, আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির এই সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এসব ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। – রয়টার্স