বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত ২০২৪ সালের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স প্রতিবেদনে ১০টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে টেকসই আর্থিক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসনমূলক (ইএসজি) মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই মূল্যায়ন করা হয়।
এবারের তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো:
ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংক— ব্র্যাক, সিটি, ইস্টার্ন, যমুনা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট এবং প্রাইম ব্যাংক আগের বছরের তালিকাতেও ছিল। তবে এক্সিম ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এবং উত্তরা ব্যাংক এবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স টানা দ্বিতীয় বছরের মতো স্বীকৃতি পেয়েছে, যা তাদের ধারাবাহিক টেকসই ও সমাজমুখী কার্যক্রমের প্রমাণ।
মূল্যায়নের পাঁচটি সূচক:
১. টেকসই অর্থায়ন সূচক
২. কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম
৩. পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন
৪. মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সূচক
৫. ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি।
এর মধ্যে মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সূচক ও ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি সূচক মিলে মোট নম্বরের প্রায় ৬০ শতাংশ ওজন বহন করে।
মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সূচকে বিবেচনা করা হয় নিট খেলাপি ঋণের হার, টায়ার-১ মূলধন, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের অনুপাত, প্রভিশন স্থিতি, সিএমএসএমই খাতে ঋণের অংশ এবং বড় ঋণের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা।
অন্যদিকে, ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি সূচকে ব্যাংকের শাখা নেটওয়ার্ক, হিসাব সংখ্যা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার পরিধি বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো এই টেকসই রেটিং পদ্ধতি চালু করে। এর উদ্দেশ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশবান্ধব ও সুশাসন ভিত্তিক কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই পথে পরিচালিত করা। এই প্রতিবেদন শুধু বর্তমান পরিস্থিতি নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনাও প্রদান করে।