এই বিবৃতি ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ধাপে ধাপে গাজা পুনর্দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ওই মুখপাত্র আরো বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের গ্যাংস্টারসুলভ মানসিকতার পরিচয়, যার লক্ষ্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে নেওয়া।’ তিনি গাজাকে ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করেন।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা
ইসরায়েলের অব্যাহত গণহত্যায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো প্রায় ১১ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা গাজা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি—সম্ভাব্যভাবে প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি।
ইসরায়েলের এই দীর্ঘদিনের হামলায় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পুরো জনগণ কার্যত গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ ছাড়া, ইসরায়েল বর্তমানে গাজায় চালানো যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
সূত্র : টিআরটি গ্লোবাল।