
২০২৩ সালে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শিশু সায়মন হত্যা মামলায় আদালত এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (চতুর্থ) আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, সায়মনের চাচি শেফালী বেগমের পরকীয়া প্রেমিক বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড এবং শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে দুই আসামিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। শিশু সায়মন তাদের অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সায়মন মায়ের সঙ্গে বাতাকান্দি বাজারে যায়। সেখান থেকে পানীয় কিনে ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়। ১৮ আগস্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি বালুর মাঠের ঝোপ থেকে সায়মনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার শেফালী বেগমসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে এবং পরে দুজনকেই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর নিহত সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমি আদালতের এই রায়ে খুশি। রাষ্ট্রের কাছে আমার একটাই দাবি— আমার সন্তানের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি কার্যকর করা হোক।”